লোকটার উচ্চতা খুব বেশি ছিল না। ৬ ফুটের একটু কম। কিন্তু রিফ্লেক্স ছিল চমৎকার, ভীষণ অ্যাক্রোবেটিকও। আর্জেন্টাইন ফুটবলে সে সময় এত অ্যাক্রোবেটিক, রিফ্লেক্সসম্পন্ন এবং পায়ের ব্যবহার জানা গোলকিপার ছিল না। লোকে আদর করে তাঁকে ‘এল পাতো’ নামে ডেকেছে—আর্জেন্টাইন ফুটবলে নামটা চিরস্থায়ী জায়গাও পেয়েছে। বাংলায় নামটার অর্থ হলো ‘হাঁস’।
ঠিক কী কারণে এই নাম, তাঁর সুলুকসন্ধান করা যায়নি। একটা মিল হতে পারে এমন, পানির ওপর হাঁস যতটা সহজাত, মাঝেমধ্যে ডানা ঝাঁপটে লাফিয়ে শিকার ধরে—পোস্টের নিচে তিনিও ততটাই সহজাত ছিলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, হতে পারে বিতর্কও। তবে শুধু আর্জেন্টিনার ফুটবল কেন, ফুটবল ইতিহাসেই তাঁর কিংবদন্তি মর্যাদা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না। ওহ, লোকটির নামই বলা হয়নি। তিনি উবালদো ফিলোল—১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের গোলকিপার। কেউ কেউ তাঁকে আর্জেন্টিনার ইতিহাসেই সেরা গোলকিপার মানেন। গত মাসের মাঝামাঝিতে ফিলোলের ’৭৮ বিশ্বকাপ জয়ের পদক চুরি গিয়েছিল। গতকাল আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’কে ফিলোলের ছেলে সেবাস্তিয়ান জানিয়েছেন, হারানো সেই পদক ফিরে পেয়েছেন তাঁর বাবা।