মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দেখতে গিয়েছিলাম ঈদের পর। লাইন ধরে টিকেট কেটে ঢুকতে হয়েছিলো পর্যটকের ভিড়ে। অনেকের হাতেই চিপস জাতীয় খাদ্যের প্যাকেট, পানির বোতল ও কারো কারো হাতে ক্যামেরা, মোবাইল সবার হাতে। ২০/৩০ মিটার যাওয়ার পর মনে হলো পর্যটকরা ধারালো কিছু নিয়েও ঢুকে থাকেন। সুন্দর সুন্দর গাছের গায়ে আঁকা নামের হাজারো আদ্যাক্ষর দেখে তাই প্রমাণ হয়। মুক্তি পায়নি ডেওয়া গাছ থেকে বাঁশ গাছ দর্শণীয় কোনো গাছই।
হাঁটাপথের দুই পাশে পানির বোতল, চিপস এর প্যাকেট এর মতো পরিত্যক্ত জিনিসের ছড়াছড়ি। এসব দেখে স্পষ্টই বোঝা যায়, আসলে এই বনের কোনো রক্ষক নেই, তদারকিরও কেউ নেই। প্রবেশমুখ থেকে সামান্য ভিতরে বন বিভাগের কার্যালয় আছে একটি। কোথাও কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিনিধি আছে বলে মনে হলো না।
দেখা গেলো, চকচকে সুদৃশ্য দুটি গাড়ি ওই কার্যালয়ের কাছাকাছি এসে থেমেছে। আরও সুদৃশ্য কয়েকজন গাড়ি থেকে নেমে দিব্বি হেঁটে বেড়াচ্ছেন। বনের ভিতরে গাড়ির প্রবেশাধিকার পায় কিভাবে? কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। তবে একজন সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে বলতে পারি, এটা বনের রাজ্যে দানবীয় আগ্রাসন ছাড়া কিছু নয়। কিশোরদের হৈহুল্লুর, চিৎকার, গান গাওয়া দেখে মনেই হলো না জায়গাটা পশুপাখিদের আবাস-নাট্যমঞ্চ নয় কিংবা খেলার মাঠ নয়।