তীব্র দাবদাহে করণীয় কী?

ঢাকা পোষ্ট অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩

২০২৪ সালের মার্চ থেকে তীব্র দাবদাহের আগমন ঘটে। দুই বছরের মতো দাবদাহ এবারও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। দিনে কড়া রোদ আর কদাচিৎ কালবৈশাখী ঝড়-শিলাবৃষ্টি কিন্তু গরম কমছে না। মনে হয় বলি—‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।


জনজীবন এখন অতিষ্ঠ। ঢাকায় গরম বেশি। অনেকেই বলছেন, ছয় দশকে ঢাকায় অসহনীয় গরম বেড়েছে তিনগুন। তাই ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোয় দুঃসহ গরমের কাল আরও অনেক বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা গ্রীষ্মকালে দুঃসহ গরমের কাল আর অপেক্ষাকৃত আরামের সময় এই দুটো ভাগে চিহ্নিত করেছেন তাপমাত্রার ভিত্তিতে।


যে এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৭০ থেকে ৯০ একে বলা হচ্ছে দুঃসহ গরমের কাল আর যে এলাকায় তাপমান ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি আর আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের কম একে বলা হয় আরামদায়ক দিন। বাংলাদেশে ৬০ বছরে তাপমান, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর।


বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল ক্রমেই হচ্ছে উত্তপ্ত। রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকা দক্ষিণাঞ্চলে ঝড় জলোচ্ছ্বাসের ওপর বাড়ছে উষ্ণতা। বছরে দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা বাড়ছে আর আর্দ্রতা বাড়ছে দশমিক ৩ শতাংশ। আর কষ্টের তীব্রতা বেড়েছে দশমিক ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


২৯ মার্চ ২০২৪ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, মিশর, ইরাকের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল আরবান ক্লাইমেট-এ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ঢাকার কথায় যদি ধরি কী কারণে এত তাপ এই নগরীতে? ২ কোটির বেশি লোকের বাস মহানগরীতে। মানুষ তাই এমন তাপমাত্রা অনুভব করছে। আর ক্রমেই বাড়ছে নগরায়ন। বহুতল ভবনও বাড়ছে। এসব কাঠামো তাপ শোষণ আর বিকিরণ করে, একে বলে আরবান হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট।


নগরে বাড়ছে ট্রাফিক আর শিল্প কারখানা তার থেকেও আসছে উত্তাপ। কমে আসছে সবুজ বনানী। ঢাকায় এর প্রভাব বেশি, ঢাকায় বৃক্ষ শোভিত এলাকা কম, গাছপালা বেশি থাকলে তা দেয় ছায়া আর প্রস্বেদনের মাধ্যমে আর্দ্রতা আনে। বৃক্ষ রাজি কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা তাই বেশি বেড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us