ফিলিস্তিনের যেকোনো বড় অভ্যুত্থানে কয়েক দশক ধরে একটি নাম জোরালোভাবে উচ্চারিত হয়ে আসছে—মারওয়ান বারগুতি (৬৪)। হত্যাসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত বারগুতি ২০ বছর ধরে ইসরায়েলের কারাগারে আটক। অথচ ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস, একমাত্র তিনিই প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ফিলিস্তিনকে এই অচলাবস্থা থেকে মুক্ত করতে সক্ষম। তিনিই পারেন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা এনে দিতে।
আপনি ফিলিস্তিনের পথে পথে, ইসরায়েলের তৈরি কংক্রিটের দেয়ালে বারগুতির গ্রাফিতি দেখতে পাবেন। হাতকড়া পরা হাতটি মাথার ওপর তুলে ধরে আছেন মারওয়ান বারগুতি। অথচ কী আশ্চর্য! দুই দশকের কারাজীবন তাঁর চোখের জ্যোতি কিংবা বুকের বল—কোনোটিই কেড়ে নিতে পারেনি।
কত দফা যে বারগুতি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এই কারাবরণ তাঁকে তাঁর মানুষদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারেনি। সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোর প্রতিটিতে তিনি এগিয়ে আছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতা মাহমুদ আব্বাসের চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ৪০ পয়েন্ট। এমনকি কট্টরপন্থী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েকেও তিনি পেছনে ফেলেছেন।
হামাস বলুন, কিংবা ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা, সবাই একমত, ফিলিস্তিনকে নেতৃত্ব দিতে পারেন একমাত্র বারগুতিই।
কিন্তু মারওয়ান বারগুতি কি মুক্তি পাবেন? সম্ভবত খুব শিগগির তাঁর মুক্তির কোনো আশা নেই। বারগুতি মুক্তি পেলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের যে আলোচনা, তাতে তাকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। অনেকেই মনে করেন, যেকোনো উপায়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁকে অন্তরীণ রাখবেন।