পাটুরিয়া দিয়ে পদ্মা পেরোলেই গোয়ালন্দ ঘাট। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে বর্ষাকালে পাট জাগ দেওয়ার গন্ধ। একটু এগোলে কোমরপুর রেললাইনের আগে শ্যামসুন্দরপুরের কাছাকাছি মাঠঘাট পেরিয়ে বাতাসে ছুটে আসে গুড়ের তীব্র ঘ্রাণ। ধারেকাছে কোথাও চিনিকল আছে। মৌসুম বুঝে ঘ্রাণ কমবেশি হয়ে মেখে থাকে এখানকার গাছপালার গায়েও।
বহুদিন পর যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরে, তারা নাক উঁচু করে বাতাসে সেই গন্ধ নেয়। এরপর জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করে, কতটা পথ বাকি। তখন দুই পাশে প্রবল ফসলের মাঠ আর নদীর ক্ষীণ রেখার আভাস পাওয়া যায়। এভাবে জনপদের বিশেষ ঘ্রাণের সঙ্গে মিশে যায় মানুষের পথের দূরত্বের হিসাব।