মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় বাসে ওঠেন এনজিওকর্মী শামসুল হক মৃধা। শ্যামলী থেকে রাত সাড়ে ১০টার বাস ছাড়ে এক ঘণ্টা বিলম্বে। যখন সকাল হয়, তখন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওগামী বাসটি যেতে পেরেছে মাত্র ৪২ কিলোমিটার; মানে চন্দ্রায়। বেলা সাড়ে ১১টায় শামসুল বঙ্গবন্ধু সেতু পার হন।সোমবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পোশাক কারখানায় একযোগে ঈদের ছুটি হলে ওইদিন বিকালেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে।
উত্তরের পথে সাভার, আশুলিয়া, বাইপাইল, চন্দ্রা-এসব এলাকায় সড়কে ছিল উত্তরবঙ্গমুখী মানুষের স্রোত। আর তাতে করে সৃষ্টি হয় দুঃসহ যানজটের; ঈদ যাত্রার শুরুতে সড়ক ও রেলে যে স্বস্তি ছিল, শেষ বেলার চাপে তা পরিণত হয় দুর্ভোগে। তবে নৌযাত্রায় চাপ বাড়লেও তেমন ভোগান্তি ছিল না।