দেশে ডলারের দাম আর না বেড়ে বরং কমতে শুরু করেছে বলে খবর বেরিয়েছে সম্প্রতি। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন পর অপেক্ষাকৃত কম দামে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) কিনছে। কমে কিনতে পারলে তারা আমদানিকারকদের কাছে কম দামে ডলার বেচতে পারবে। উচ্চশিক্ষাসহ আরও যেসব কাজে ডলার লাগে, সেসব ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের তাহলে এখন কম ব্যয় হওয়ার কথা। বিদেশে শিক্ষা গ্রহণে খুব অসুবিধা হচ্ছিল সেখানকার খরচ মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডলার পেতে। বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহেও সমস্যা হচ্ছিল নিশ্চয়ই। অনেক কম ডলার বাজারে থাকায় পণ্যসামগ্রী আমদানিকারকদেরও এটা সংগ্রহ করতে হচ্ছিল ব্যাংকের ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দিয়ে। ‘কার্ব মার্কেট’ থেকেও তাদের কিনে আনতে হচ্ছিল ডলার!
এমন একটা প্রায় নজিরবিহীন পরিস্থিতিই মোকাবিলা করতে হচ্ছিল। এখনো যে একেবারে হচ্ছে না, তা নয়। তবে ডলারের দাম কিছুটা কমে এসে একটা জায়গায় স্থিত হওয়ার প্রবণতা দেখালে সেটা স্বস্তির বলতে হবে। আমদানিকারকরা নাকি ঋণপত্র (এলসি) খুলতে আগের মতো জটিলতায়ও পড়ছেন না। তাদের একাংশ আবার একইসঙ্গে রপ্তানিকারক। তারা কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানি করেন সেগুলো দিয়ে পণ্য বানিয়ে রপ্তানি করতে। তবে কিছু আমদানিকারক আনেন ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। সংকট ঘনীভূত হয়ে ওঠায় সাম্প্রতিককালে আলু-পেঁয়াজের মতো পণ্যও আমদানি করতে হচ্ছে। সরকারি সংস্থাগুলো জ্বালানি তেলসহ কিছু জরুরি পণ্য করে আসছে আমদানি। হালে খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি কমাতে কিছু চাল আমদানিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সবগুলোতেই লাগবে ডলার।