আজ ২৭ রমজান। পবিত্র মাহে রমজানে আমরা বিভিন্ন ধরনের নেক আমল করে থাকি। অনেকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের খোঁজ-খবর রাখছেন আবার অনেকে রাখছেন না।
রমজান আমাদেরকে প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণ, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা শুধু রমজানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং বছর জুড়ে তা অব্যাহত রাখার নির্দেশ রয়েছে।
আমরা ক’জন এমন আছি যারা রমজান বা অন্য সময় আমাদের প্রতিবেশীর খোঁজ রাখি? নিজের পরিবারের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ করছি ঠিকই কিন্তু আমার প্রতিবেশী যিনি কষ্টে সেহরি ও ইফতার করছেন তার খেয়াল কি আমি রাখছি?
ঈদ উপলক্ষ্যে সবাই যখন সন্তানদের নতুন জামা কাপাড় কেনা নিয়ে ব্যস্ত সেখানে হয়তো এমন অনেক প্রতিবেশী আছে যাদের শিশুরা কাঁদছে দু’মুঠো খাবারের জন্য। এমনই হয়তো অনেক পরিবার আপনার আমার আশপাশে থেকে থাকবে। তাদেরকে সাহায্য করা একজন রোজাদারের জন্য অনেক বড় সওয়াবের কাজ।
রাসুল (সা.) তো সাধারণ দিনগুলোতে অনেক বেশি দান খয়রাত করতেনই আর রমজানে তিনি ঝড়োগতিতে দান করতেন। ফিতরানা, ফিদিয়া প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এই শিক্ষা তিনি (সা.) কেন দিয়েছেন? এজন্যই যে গরীব অসহাদের কষ্ট যেন আমরা দূর করতে পারি।
আল্লাহতায়ালার নির্দেশ অনুসারে আমরা নামাজ, রোজা, হজ সবই করছি কিন্তু প্রতিবেশীর হক সঠিকভাবে আদায় করছি কি? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়, যে পেট পুরে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে।আমাদের এই নামাজ, রোজা, হজ কোন কিছুই কাজে আসবে না যদি আমরা আমাদের প্রতিবেশীর কষ্ট দূর না করি আর তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াই।
খাবার না খেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় যারা দিনরাত কষ্ট করে কাটায় সেই কষ্ট কেমন তা যেন একজন রোজাদার সারাদিন না খেয়ে উপলব্ধি করতে পারে এজন্য রোজার শিক্ষা আর রোজা রাখার মূল উদ্দেশ্যর মাঝে আত্মিক উন্নতির পাশাপাশি গরীবের প্রতি সহানুভূতির শিক্ষা জাগ্রত করাও উদ্দেশ্য।আত্মীয় এবং প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে।