ইয়াবা একটি ‘ক্রেজি ড্রাগ’। এ মাদকদ্রব্যটি সেবন করলে মানুষের মতিভ্রম ঘটে ও চরম মাতলামী শুরু হয়। যতদূর জানা যায়, এর উৎপত্তি হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তাই এর প্রথম নাম ‘নাৎজি স্পিড’ বা হিটলারের নাৎজি বাহিনীর মত গতি। হিটলার তাঁর সৈন্যদেরকে দীর্ঘ সময় যুদ্ধক্ষেত্রে সবল রাখার উপায় হিসেবে সে সময়কার নজরবন্দী বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদদেরকে এই ওষুধ আবিষ্কার করতে বাধ্য করেন। কালক্রমে এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
মেটা এমপেথামিন (২৫%-৩৫%) ও ক্যাফেইন (৪৫%-৬৫%)-এর সংমিশ্রণে তৈরি এই শক্তিশালী উদ্দীপক ওষুধটি বর্তমানে এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হয়। এশিয়ায় এর বহুল ব্যবহার হলেও ইউরোপ-আমেরিকার র্যাভেজ ও টিকালো পার্টিতে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। পশ্চিমের নাইট ক্লাবগুলোতে রাতভর পাগলপারা নৃত্য উন্মাদনা সৃষ্টিতে এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি থিয়েটারের নর্তকীরা নখের ওপর দাঁড়িয়ে মাতালের মত ঘুরে-ফিরে নৃত্যভঙ্গিমা করতে এই উদ্দীপক ওষুধ ব্যবহার করে।