পবিত্র রমজান মাস চলছে। প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে এ মাসে ধার্মিকতার আধিক্য আমরা প্রতিবছর দেখি। অনেকে সাধ্যমতো দান-খয়রাত করেন। সামর্থ্যবান অনেকেই এ মাসে ওমরাহ পালন করেন। অনেক সওয়াব হাসিল করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। একজন মুসলমান তার সৃষ্টিকর্তার কাছে পুরো আত্মসমর্পণ করেছে, এটি ভেবে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে।
দেশে বসেও সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোনো ধরনের ভালো কাজ (সৎকর্ম) দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে কল্যাণকর। ইবাদত বলতে তো শুধু রোজা রাখা, ওমরাহ পালন, তারাবির নামাজ পড়া বোঝায় না, দুনিয়াদারির সব কাজ ও পেশা ভালোভাবে নির্দেশিত পথে চালিয়ে জীবনকর্ম নির্বাহকেও বোঝায়। ব্যবহারিক অর্থে ধার্মিকতা হচ্ছে আল্লাহভীতি, সত্যের প্রতি সচেতনতা ইত্যাদি। অন্যভাবে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে বেঁচে থাকা ও তাঁর হুকুম মেনে চলাই হলো তাকওয়া (আল্লাহ-সচেতনতা)।