শূকরের কিডনিতে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা বিশ্বের প্রথম সেই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে (এমজিএইচ) ওই রোগীর শরীরে শূকরের সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের দুই সপ্তাহ পর বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা এই ঘটনাকে যুগান্তকরী হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালালেও মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি কাজ করেনি। বরং মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেম তাৎক্ষণিকভাবে অন্য প্রাণীর টিস্যু ধ্বংস করে ফেলে। সম্প্রতি শূকরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের বেশ কিছু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন চিকিৎসকরা। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেওয়ার আগে জিনগত পরিবর্তন এনে শূকরের জন্ম দেওয়া হয়; যাতে তাদের অঙ্গগুলো মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো হয়।
এখন পর্যন্ত শূকরের কিডনিতে জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তা মানবদেহে প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতির সাফল্যকে বিজ্ঞানীরা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ‘‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’’ বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার এমজিএইচ কর্তৃপক্ষ তাদের অভূতপূর্ব এই সাফল্যের তথ্য শেয়ার করেছে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ।