গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, দেশের রাজনীতিতে স্থবিরতা নেমে আসে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করে এবং জনগণকেও নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানায়। তবে বর্জনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতার খবর সংবাদ মাধ্যম দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো দাবি করেছে, ভোট প্রদানের হার ১০-১৫ শতাংশের বেশি নয়। শাসক দল আইনের উসিলায় জয়লাভ করে নতুন সরকার গঠন করলেও একে বিজয় না বলে পরাজয় বলাই শ্রেয়। পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শিথিল হয়ে পড়ে।
এ বছর রমজানে রাজনৈতিক উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ ইফতার মাহফিলগুলো ছিল অনেকটা নিষ্প্রভ। এদেশে সত্যিকারের রাজনীতি ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে, দেশে বিরাজনীতিকরণের শৈত্য প্রবাহ চলছে। এমনই এক পরিবেশে আমরা লক্ষ করলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।