কুড়িগ্রামে উন্নয়নের সুবাতাস বয়ে নিয়ে এসেছে ভুটানি স্পেশাল ইকোনমিক জোন। কুড়িগ্রামের অবহেলিত মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে অনেকদিন পর। সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে হাতের কাছে, লুফে নিতে হবে কুড়িগ্রামের মানুষকে। মনে রাখতে হবে কোনো কিছুই আপনাআপনি পাওয়া যায় না। এক সময় কুড়িগ্রাম ছিল মঙ্গাপীড়িত। বছরের একটি সময় মানুষ কর্মহীন হয়ে না খেয়ে থাকত। ছোট্ট একটি জেলা দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদ, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমর নদীসহ অনেক শাখা-প্রশাখা নদী মিলে প্রায় ১৬টি নদী প্রবাহিত। প্রতিবছর নদীভাঙনে হাজার হাজার পরিবার ভূমিহীন হয়ে পথে দাঁড়ায়।
কাজের সুযোগ না থাকায় দেখা দিত মঙ্গা। মঙ্গা শব্দটার সঙ্গে কুড়িগ্রামের মানুষ খুবই পরিচিত। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের দারিদ্র্র্যসীমার নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা কুড়িগ্রাম জেলায় বেশি। নদীভাঙনে ভিটা-মাটি হারিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়েছেন অনেকেই। অনেকে নদীরক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এখন আর মঙ্গা নেই কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রামের মানুষ ত্রাণ চায় না, চায় কাজ। কাজ করে খেতে কুড়িগ্রামের মানুষ পছন্দ করে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে মানুষ খুঁজে পেয়েছে কাজের সন্ধান, কৃষিতে এসেছে বৈচিত্র্য। অনেকেই জেলার বাইরে কাজ খুঁজে নিয়েছেন। তাদের পরিবারগুলো এখন আর না খেয়ে থাকে না। কুড়িগ্রাম অঞ্চলের একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, বাবা-মাকে ছেড়ে কেউ বাইরে কোথাও যেতে চাইত না কাজের সন্ধানে। শত কষ্টেও থাকত বাবা-মার সঙ্গে।