প্রযুক্তির এ যুগে দৈনন্দিন জীবনে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা গ্যাজেটের বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে। শিশুরাও এর বাইরে নয়। গবেষণা বলছে, ৮ থেকে ১৮ বছরের শিশু দৈনিক গড়ে ৬ ঘণ্টা ২১ মিনিট ডিভাইসের সঙ্গে কাটাচ্ছে। শিশুদের প্রধান সঙ্গী এখন টেলিভিশন, কম্পিউটার, মুঠোফোন, ভিডিও গেমস, ইন্টারনেট প্রভৃতি। উপমহাদেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় টেলিভিশন দেখে। অতি ডিভাইসপ্রীতি শিশুর সুস্থ বিকাশ ও মনোসামাজিক সুরক্ষার অন্তরায়।
শিশু–কিশোরদের ওপর প্রভাব
অসামাজিকতা: শিশুরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস যেমন খেলাধুলা, কায়িক শ্রম, জনসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এমনকি পরিবারে সময় না দিয়ে গ্যাজেট নিয়ে মেতে থাকে। সে হয়ে ওঠে অসামাজিক জীব, স্বার্থপর।
আচরণজনিত সমস্যা: মারদাঙ্গা দৃশ্য দেখতে দেখতে শিশুও অল্পতেই ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। শিশু নিয়মিত এসব দেখলে লেখাপড়ায় প্রভাব পড়ে। ছোট শিশুদের কেউ কেউ হতাশায় ভোগে। ‘এডিএইচডি’ বা ‘শিশুর অমনোযোগিতা’ রোগের অন্যতম কারণ বেশি টেলিভিশন দেখা। টিভি, সিনেমায় আসক্ত শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি।