দরিদ্র ও কোটিপতি দুই-ই বাড়ছে, কেন?

ঢাকা পোষ্ট ইমতিয়াজ মাহমুদ প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

বাংলাদেশকে এখন তো আর কেউ দরিদ্র দেশ বলতে পারবে না। ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক লাখ সাড়ে তেরো হাজার কোটিপতি ছিল। বিবিসি এবং অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে এই সংখ্যাটা এসেছে ব্যাংক একাউন্টে রক্ষিত টাকার হিসাবে। ধরে নেওয়া যায় যে এই টাকাটা প্রায় পুরোটাই সাদা টাকা। কালো টাকার হিসাব ধরলে আর সম্পদের হিসাব যুক্ত করলে হয়তো এই সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যাবে।


এর প্রতিফলন আপনি দেখতে পাবেন দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে পণ্যের ধরন ও কেনাবেচার হার দেখলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের হিসাব তো আছেই, এছাড়া দেশে দামি গাড়ি থেকে শুরু করে সব বিলাসবহুল পণ্য বিক্রির হিসাব নিলে দেখা যাবে যে, চাওয়া মাত্রই টাকা বের করে দিতে পারবে এই রকম লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সাথে যদি বিবেচনায় নেওয়া হয় দেশের সাধারণ প্রবৃদ্ধি, গড় আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি তাহলে গরিব দেশ বলার তো আর উপায় থাকেই না।


এইরকম অবস্থার মধ্যে যখন সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসাব দেয় যে, দেশের শতকরা ২৬ ভাগ পরিবারকে মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য ঋণ করতে হয় তখন দৃশ্যপটটা কী দাঁড়ায়? এটা কেমন দেশ আর কেমন তার অর্থনীতি যেখানে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি অথচ প্রতি চারটি পরিবারের একটি ওদের মৌলিক চাহিদা অর্থাৎ খাবার-দাবার, জামা-কাপড় কেনা, চিকিৎসার খরচ, আবাসন শিক্ষা এইসব খরচ মেটাতে পারে না নিজেদের আয় থেকে!


জরিপ পরিচালনা করেছে সরকারের সংস্থা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। এটা ছিল বাংলাদেশে সরকারিভাবে করা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রথম জরিপ। জরিপের ফলাফলটা জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশিত হয়েছে। এই জরিপ প্রসঙ্গে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) বলছে যে, সংখ্যাটি ২৬ শতাংশের চেয়ে বেশি হওয়ার কথা। এই ২৬ শতাংশের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামের মানুষ।


খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার প্রয়োজন মেটাতে মানুষকে ঋণ করতে হচ্ছে, ঋণের শতকরা ৬৮ ভাগই মানুষ নিচ্ছে এনজিও থেকে অতি উচ্চসুদে। বাকিটা আসে আত্মীয়স্বজন, ব্যাংক ও অন্যান্য উৎস থেকে। পরিসংখ্যানেই এসেছে যে, এইসব দরিদ্র মানুষ বছরে গড়ে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ বা তারচেয়ে খানিকটা বেশি করে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। বলাই বাহুল্য, গ্রামের এইসব মানুষের অধিকাংশই ইতিমধ্যে ঋণগ্রস্ত, তার উপর এইসব ঋণ মানুষকে এমন একটি ঋণের জালে ঠেলে দেবে যেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে যাবে।


এমন না যে, দেশে খাদ্যের সেই রকম কোনো অভাব আছে। দেশে চালের কোনো সংকট নেই, অন্যান্য খাদ্যশস্যেরও কোনো সংকট নেই। তেল, লবণ, চিনি, আটা, ময়দা, শাকসবজি, মাছ, মাংস সবই আছে বাজারে। কিন্তু সব পণ্যেরই মূল্য অনেক বেশি—এত বেশি যে আমাদের মধ্যবিত্তের পক্ষেও বাজারের সাথে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই দামে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক খাবার কিনে, সন্তানের শিক্ষা বা চিকিৎসা ব্যয় বহন করা বা কাপড়চোপড় কেনা যে কঠিন হয়ে যাবে তা তো স্পষ্ট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us