একই মান ও স্পেসিফিকেশনের (আকার, কাগজের উজ্জ্বলতা, প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠাসংখ্যা, বাঁধাই) বই হলেও ছাপানো হয়েছে ভিন্ন দামে। দরপত্রে মানা হয়নি নিয়ম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়নি। আলাদা ‘ইন্সপেকশন এজেন্ট’ নিয়োগ দিয়েও বই ছাপানো দেখভালের নামে লাখ লাখ টাকা পকেটে পুরেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে এমন আরও অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। সংস্থাটির নিরীক্ষা বলছে, এসব অনিয়মের কারণে সরকারের প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর বাইরে আরও ২৫ কোটি টাকার অনিয়মেরও প্রমাণ মিলেছে। এসব বিষয়ে অডিট আপত্তি জানিয়ে এর জবাব দিতে অধিদপ্তর গত ২৯ জানুয়ারি এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে আধা সরকারি পত্র দিয়েছে। অধিদপ্তর ও এনসিটিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।