অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া কেবল ভৌগোলিক স্বাধীনতার মাধ্যমে কোনো দেশের স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে না। একটি দেশের স্বাধীনতার স্বাদ প্রকৃত অর্থে ভোগ করতে হলে সবার আগে জরুরি অর্থনৈতিক মুক্তি বা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এ কথা বলতেই হয়, আমাদের দেশটির বয়স তিপ্পান্ন বছর পূর্ণ হলেও এখনো পুরোপুরি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মুখ দেখেনি।
তবে এ পর্যন্ত যতটুকু অর্জিত হয়েছে, তার পেছনে যে কয়টি বিশেষ শ্রেণি রয়েছে, তন্মধ্যে প্রবাসীদের অবদানের কথাটি সবার আগে চলে আসে। প্রবাসীরা কেবল দেশ স্বাধীন হওয়ার পরই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে না, বরং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তহবিল সংগ্রহ ও স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন এবং যুদ্ধ শেষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে।