আমরা অনেকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত হতে চাই, দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করে, তেমনি মনেও আনে একটা অন্য রকম প্রশান্তি। জাগায় আত্মবিশ্বাস। ক্যাম্পাসগুলোয় স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের নানা সংগঠন আছে, এসব সংগঠনে যোগ দিতে পারেন। কয়েকজন বন্ধু মিলেও কিন্তু নিয়ে ফেলতে পারেন এমন ভালো কাজের উদ্যোগ। কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরছেন মো. জান্নাতুল নাঈম
রক্তদান
শিক্ষাজীবনের অন্যতম বড় শক্তিই হলো একতা। একতা আছে বলেই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কারও রক্তের প্রয়োজন হলে সাধারণত রক্তদাতা পেতে সময় লাগে না। এই ‘একতার বল’ই কাজে লাগান। ক্যাম্পাসের কার কী রক্তের গ্রুপ, সব তথ্য সংগ্রহ করে ফেলতে পারেন কয়েকজন বন্ধু মিলে। গোছানো একটা তথ্যভান্ডার থাকলে জরুরি পরিস্থিতিতে রক্ত পাওয়া সহজ হয়। শুধু ক্যাম্পাসের ভেতরে নয়, বাইরের মানুষকেও চাইলে সেবা দিতে পারবেন।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়ানো
এই উদ্যোগও আমাদের দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশ পরিচিত। তবে আপনার ক্যাম্পাসে যদি এমন কোনো কার্যক্রম না থাকে, চাইলে নিজেরা শুরু করতেই পারেন।
পুরোপুরি শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত শিশুরা তো আছেই, বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া শিশুর হারও অনেক। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেক শিশু খুব ছোটবেলায়ই কাজে যুক্ত হয়ে যায়। এ রকম একজন শিশুকে পড়ানোর দায়িত্ব আপনি ও আপনারা নিতেই পারেন।