বিশ্বে যক্ষ্মার প্রকোপ বাড়ছে। এতে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ শুরুতেই এ রোগ ধরা পড়লে এবং নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগ ভাল নয়। যক্ষ্মা হলে রক্ষা নয়, এই কথাটি এখন আর সত্য নয়। যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়।
যক্ষ্মা সাধারণত টিবি নামে পরিচিত একটি সংক্রামক রোগ যা ফুসফুসে প্রধানত হয়ে থাকে এবং ফুসফুসে বাইরে হয়ে থাকে। ফুসফুসে ৮৫% হয় এবং ফুসফুসে বাইরে১৫ % হয়ে থাকে। ইদানিং ফুসফুসে বাইরে দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম বোন টিবি। স্পাইনাল কর্ডে টিবি, যে কোনো অপারেশনের জায়গায় থাকতে পারে যেমন সার্জারি জায়গায় টিবি হতে পারে।
এটি একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা হাঁচি এবং কাঁশির মাধ্যমে সংক্রামিত ফোটাগুলির মাধ্যমে একজন সংক্রামক ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে (যদি ফুসফুসে হয়ে থাকে হাঁচি কাঁশির মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে আরেকজন ছড়িয়ে পড়তে পারে)
সরকারিভাবে যক্ষ্মার ওষুধ এবং রোগ-নির্ণয়ে কোনও খরচ লাগে না। সংশ্লিষ্ট রোগীকে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ওষুধ ও রোগ নির্ণয়ের জন্য যেতে হয়।
যক্ষ্মা হলে নিচের লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:
১. কাশি থাকতে পারে তিন সপ্তাহ বা তার বেশি।
২. দুর্বলতা কিংবা ক্লান্তি।
৩. ওজন কমতে পারে খিদে কমে যেতে পারে।
৪. ঠান্ডা লাগা ভাব থাকতে পারে জ্বর
৫. রাতে ঘাম হতে পারে।
সুপ্ত (latent) টিবি: এই ধরনের টিবিতে শরীরে ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় আকারে থাকে।
সক্রিয় (active) টিবি: এই ধরনের টিবিতে শরীরের মধ্যেই ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং এই রোগের সব লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে।
পালমোনারি টিবি: এই ধরনের টিবিকে রোগের প্রাথমিক ধাপ বলে ধরে নেওয়া হয়