একাত্তরের নয় মাস দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এর মধ্যে ২২ মে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও পালং থানার কয়েকটি গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ও ধরে নিয়ে হত্যা করা হয় তিনশর বেশি মানুষকে।
কীর্তিনাশা নদীর তীরের নড়িয়া-পালং এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের কোনো ক্যাম্প না থাকলেও মাদারীপুর থেকে লঞ্চে এসে সেদিন এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। তবে তাদের দোসর রাজাকাররা হত্যা-লুটতরাজ চালিয়ে গেছে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই।
সেদিন সবার চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও নিরুপায় বাঙালির কিছুই করার ছিল না। স্থানীয় যারা মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, পরে সেই মুক্তিযোদ্ধারা এসে এই হত্যাযজ্ঞের বিভৎসতা দেখে শিউরে উঠেছিলেন।