রবীন্দ্রনাথের কাছে মৃত্যু ছিল একটি রোমান্টিক ধারণার মতো। তিনি যেন অধীর আগ্রহে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন।মাত্র ২০ বছর বয়সে লেখা গীতিকবিতায় রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান।’
বস্তুত, মৃত্যু মানে কী অথবা জীবনের ওপারে কী আছে, তা দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে জন্যই ডাক্তাররা যখন দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের প্রস্তাব করলেন, তিনি রাজি হলেন না। বললেন, ‘আমার ডাক এসে গেছে।’ ক্রিটিক বলছেন, তিনি যেন ওপারে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করছেন। রবীন্দ্রনাথের মতো ইংরেজি ভাষার অনেক কবির কাছেও মৃত্যু একটি রোমান্টিক আবহ।