একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকেই নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় হানা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। সেদিন উপজেলার চিথোলিয়া ও গোপালাশ্রম গ্রামে রাজাকারদের সঙ্গে করে ভরদুপুরে তাণ্ডব চালায় তারা।
সেদিন অগ্নিসংযোগ, লুটপাট আর মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। এ সময় জীবন বাঁচাতে পালাতে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে অনেকে শহীদ হন; আহত হন আরও অনেকে। গুলিতে আহতদের একজন গোপালাশ্রম গ্রামের রাশিদা আক্তার।
সেদিনের ২০ বছরের গৃহবধূ রাশিদা এখন ৭৩। পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গুলি তার পিঠের ডান পাশে কাঁধের নিচে লাগে। সেই গুলি আর বের করা যায়নি। ৫৩ বছর ধরেই রাশিদা নিজের শরীরে সেই গুলি বহন করে চলেছেন। এর প্রভাবে অসহনীয় ব্যাথার পাশাপাশি ডান চোখেও দেখতে পান না তিনি। আর্থিক অসচ্ছলতায় ন্যূনতম চিকিৎসাও জুটেনি তার।