আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পড়েছি। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ক্ষুধা নিবারণ। ফলে সংগত কারণেই আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে কৃষি। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বৈদেশিক শক্তির অপচেষ্টায় আমরা ক্রমেই কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে সরে এসেছি। আমরা একবারও আমাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ ও সম্ভাবনার কথাগুলো ভাবিনি। উর্বরা এ দেশ হতে পারত কৃষির অনন্য ক্ষেত্র। আমাদের দেশে কৃষি বিষয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে। কিন্তু বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান কোথায়? আমাদের দেশ থেকে মেধাবীরা চলে যাচ্ছেন বাইরে। উচ্চতর গবেষণার জন্য গিয়ে অনেকেই আর ফিরে আসছেন না। কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে কেউ হচ্ছেন ব্যাংকার, কেউ সরকারি আমলা কিংবা অন্য পেশাজীবী।
অথচ কৃষি বিষয়ে পাঁচ-ছয় বছরের যে অধ্যবসায়, যে শিক্ষা তা কোনো কাজেই আসছে না। এই শিক্ষিত তরুণদের হাত ধরেই পাল্টে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের কৃষির। নতুন অধ্যায় রচিত হওয়ার কথা ছিল আমাদের কৃষকের স্বপ্নের। যদিও আজকের কৃষি উন্নয়নের অবদানের অনেকটাই কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষক, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, সম্প্রসারক তথা কৃষকের। তবু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বর্তমানে এশিয়ার অনেক দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো আধুনিক কৃষিতে যে গতিতে এগিয়েছে, আমরা সেখানে কোথায়?