কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সুদ হারের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে না। এই চার্জের ওপর আরোপ করা যাবে না কোনো ধরনের সুদ বা জরিমানা। এসব ঋণের ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে এ চার্জ আদায় করতে হবে। কোনো ক্রমেই একই ঋণের ওপর একবারের বেশি চার্জ আরোপ করা যাবে না। কোনো ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করলে তা ফেরত দিতে বাধ্য করা হবে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ সার্কুলার জারির দিন থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরোপিত সুদ হারের করিডোর অনুযায়ী সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ সুদ আদায় করা যাবে। কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প ও ভোক্তা ঋণের সুপারভিশন খরচ বেশি হওয়ায় এ খাতে সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি সুদ আদায় করা যাবে। যা সুপারভিশন চার্জ নামে অভিহিত হবে। ফলে এ খাতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। অন্য কোনো সুদ বা চার্জ নাম দিয়ে এ খাতের গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি কোনো সুদ বা চার্জ আদায় করা যাবে না।