আট লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাঝখানের চারটি লেন নিরবচ্ছিন্নভাবে দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলের জন্য। দুই পাশের বাকি চারটি লেন (সার্ভিস লেন) লোকাল যানবাহন চলাচল ও যাত্রী ওঠানামার জন্য। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে নিয়ম ভেঙে মহাসড়কের নিরবচ্ছিন্ন লেনে যাত্রীদের নামিয়ে যাচ্ছেন পরিবহনের শ্রমিকেরা। ফলে মাঝখানের এই লেন থেকে এক পাশে যেতে সড়ক বিভাজক টপকানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না যাত্রীদের।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে অবস্থান করে উঁচু সড়ক বিভাজক টপকাতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে। টাকার বিনিময়ে মই দিয়ে সড়ক বিভাজক পারাপারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিমরাইলের ওই স্থানে হাইওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ-আনসার সদস্যের সামনেই দ্রুতগামী লেনে গণপরিবহন থামিয়ে যাত্রী নামানো ও তুলতে দেখা গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের উঁচু সড়ক বিভাজক পারাপার হতে হচ্ছে। এতে নারীসহ বয়স্কদের পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এলোমেলো পার্কিংয়ের কারণে সার্ভিস লেনে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনের চালকেরা যাত্রী নামাতে সার্ভিস লেনে প্রবেশ করতে চান না। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুতগামী লেনে যাত্রী নামানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম ভেঙে দ্রুতগামী লেনে যাত্রী নামানোয় আজ ১৯টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।