আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো বটে!

সমকাল মাহবুব আজীজ প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৪

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনটির প্রক্রিয়া ও গুণগত ত্রুটি নিয়ে এই মূল্যায়ন জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশন শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে ৩৩ পৃষ্ঠার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ জানায়। তারা বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গণগ্রেপ্তারের কারণে বিরোধীরা ব্যস্ত ছিল আদালতপাড়ায়। 


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে একপক্ষীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কৌশলে নিজেরা নিজেরা খেলেছে– এটি বুঝতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন না থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই আলোচনার নিশ্চয়ই গুরুত্ব রয়েছে। অবশ্য নির্বাচনের পরপর যে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগকে দেখতে পাচ্ছি, তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না– তারা নির্বাচনের গুণগত মান নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন। জাতীয় সংসদের ভেতর ও বাইরে তাদের আত্মতৃপ্তি যেমন প্রকাশ পাচ্ছে, তেমনই দেশের গণতন্ত্র নিয়ে নতুন ব্যাখ্যাও আমরা জানতে পারছি। নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া শাহজাহান ওমর ৩ মার্চ, রোববার জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতোই হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে ধরনের মানুষ, যে ধরনের আমাদের কালচার, কাস্টম, সোসাইটি, শিক্ষাদীক্ষা, সে অনুসারেই আমাদের গণতন্ত্র প্রযোজ্য। আমরা যদি আমেরিকা, জাপান, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির উদাহরণ দিই... আমরা তো ব্রিটিশ না, আমরা তো জাপানিজ না, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো হতে হবে।’ 


শাহজাহান ওমর স্পষ্টভাষী বটেন! প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্র কেমন তবে? জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি ক্ষমতাসীন দল তৈরি করবে যাতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে আদালতপাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে দিন যায়? জেল-জুলুমের ভয়ে বিরোধী নেতাকর্মীর আদাড়ে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে হয়? যথার্থ বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আকাশকুসুম হয়ে থাকে? 


আমাদের গণতন্ত্র এমন, যেখানে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের আগে ‘বিরোধী দল’ জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরও নির্বাচনে সেই ‘বিরোধী দল’ ১১টি আসনের বেশি জিততে পারে না! সেই বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের মাঝেমধ্যে আবার বিবেকের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। তিনি জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘ইলেকশন যেভাবেই হোক, ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং একটা শিট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ (সমকাল, ৬ মার্চ, ২০২৪)। স্বয়ং বিরোধীদলীয় নেতা যে নির্বাচনে সরকারি দলের আনুকূল্যে জিতে আসেন, সেই গণতন্ত্র নিঃসন্দেহে বিশ্বে মৌলিক। আমাদের গণতন্ত্র এমন যে, অগ্নিসন্ত্রাসের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে শাহজাহান ওমর জেল থেকে বের হয়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে বসে জাতিকে গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা উপহার দেন। অন্যদিকে নির্বাচন প্রশ্নে আপস না করার কারণে ১৩ বছর আগের একই ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার হন বিএনপির আরেক নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বিচারপতির বাসভবনে আগুন দেওয়ার দায়ে জেলে অন্তরীণ হন বিএনপি মহাসচিব ৭৮ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে কাল

প্রথম আলো | নির্বাচন কমিশন কার্যালয়
৮ মাস আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us