নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনের লড়তে গেলে প্রার্থীকে আগে নিজ দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়। দলের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচিত হন। এরপর সেই প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের জন্য প্রায় একই নিয়ম প্রযোজ্য। দলীয় প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার এই ধাপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হলো- ‘সুপার টুয়েসডে’ যা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ)। পাশাপাশি এই দিনে পার্লামেন্টের দুই কক্ষের (প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট) সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও প্রাথমিক বাছাই হয়ে থাকে।
এ দিন একসঙ্গে অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে প্রাথমিক বাছাই ও ককাসে ভোট হয়। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধিত ভোটাররা দলের জাতীয় সম্মেলনে নিজ নিজ অঙ্গরাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী দলের মনোনয়ন পান। এবারের নির্বাচনে ‘সুপার টুয়েসডে’ ১৫টি রাজ্য এবং একটি মার্কিন ভূখণ্ডের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করবেন। ধারণা করা হচ্ছে- দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
আজ আলাবামা, আলাস্কা, আরকানসাস, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, মেইন, ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, উত্তর ক্যারোলিনা, ওকলাহোমা, টেনেসি, টেক্সাস, উটাহ, ভারমন্ট, ভার্জিনিয়া এবং মার্কিন ভূখণ্ড সামোয়া অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই ১৫টি রাজ্যের সবকটিতেই রিপাবলিকানদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মোট প্রতিনিধিদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ৮৬৫ রিপাবলিকান এবং কমপক্ষে ১৪২০ জন ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি এ দিন ভোট দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে- ট্রাম্প কমপক্ষে ৭৭৩ জন প্রতিনিধির ভোট পাবেন। বর্তমানে তার আনুমানিক ২৪৪ জন প্রতিনিধি রয়েছে, যেখানে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালির রয়েছে ৪৩ জন। রিপাবলিকান মনোনয়ন জয়ের জন্য ন্যূনতম ১২১৫ জন প্রতিনিধির ভোট দরকার।