অমর একুশে বইমেলার বাইরে কয়েক বছর আগেও একটি মেলা হত ‘ঢাকা বইমেলা’ নামে, যেখানে সম্মিলন ঘটত দেশের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সেই মেলা থেমে গেছে ২০০৯ সালে। এখন প্রতি বছর মাসব্যাপী একুশে বইমেলা হলেও সেখানে কেবল জায়গা পান দেশীয় লেখক-প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা।
সেইসঙ্গে বছর সাতেক ধরে বন্ধ আছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনও। অথচ বাংলা ভাষা আর সাহিত্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে লেখক-প্রকাশক ও গুণীজনরা আন্তর্জাতিক বইমেলা ও সাহিত্য সম্মেলনের ব্যাপারে জোর দিলেও নানা কারণে তা আর হয়ে উঠছে না।
এবারের একুশে বইমেলা ঘিরে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আলোচনাও উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাগিদ দিয়েছেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসারে সেই মেলা করার।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সকল প্রকাশককে মুদ্রণ প্রকাশনার পাশাপাশি ডিজিটাল প্রকাশক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যাতে আমরা আমাদের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, বিশ্ব মঞ্চেও দ্রুত পৌঁছে দিতে পারি।”