গুজবের সঙ্গে কর্তৃত্ববাদী সরকারের সম্পর্ক যেখানে

prothomalo.com সাইমুম পারভেজ প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

পৃথিবীজুড়েই সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান ঘটেছে। সরাসরি স্বৈরাচারী নীতির অনুসরণ করে এমন রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেমনটা উত্তর কোরিয়ায় আমরা দেখতে পাই, তা এখন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। কিন্তু তার জায়গা দখল করেছে নতুন ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।


এসব নতুন কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে অনেক সময়ই চিহ্নিত করা কঠিন। কারণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী মত দমন, বাক্‌স্বাধীনতা ও মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করার মতো স্বৈরাচারী বৈশিষ্ট্য এসব সরকারে থাকলেও তারা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের চর্চা করছে বেশ সফলভাবেই।


গণতন্ত্রের খোলস পরা এসব কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থায় নিয়ম মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় জনমতের প্রতিফলন থাকে না, বরং নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তা পূর্বনির্ধারিত থাকে।


প্রশ্ন উঠতে পারে, এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী সরকার টিকে থাকে কীভাবে এবং টিকে থাকার পেছনে তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কোনো ভূমিকা আছে কি না।


এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের দেখতে হবে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর সঙ্গে গুজব, ভুয়া তথ্য ও অপতথ্যের কোনো যোগাযোগ আছে কি না।


জার্মানির বার্লিন সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের দুই গবেষক নিকোলিনা ক্ল্যাট ও ভেনেসা বোজে-শ্লোসারের গবেষণা অনুযায়ী, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো গুজব ও ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতাকে সুসংহত করছে।


যদিও ভুয়া তথ্যের প্রচার শুধু কর্তৃত্ববাদী সরকারই করে, তা নয়, বরং নানা সংগঠন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রচারে ও প্রসারে জেনে বা নিজের অজান্তেই ভূমিকা রাখে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—ফেসবুক, এক্স (টুইটার) ইত্যাদি—এখন সাধারণ পাঠকদের জন্য সংবাদের অন্যতম উৎস।


এসব মাধ্যমে যেহেতু যে কেউ কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করতে পারে বা ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সংবাদের উৎস হয়ে উঠতে পারে, তাই ভুয়া তথ্য ও গুজব রটনাও সহজ হয়।


এই পোস্ট-ট্রুথ বা সত্য–উত্তর এ যুগে, গুজব ও ভুয়া তথ্যকে কর্তৃত্ববাদী সরকার নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে এবং জনগণের সামনে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জনমতকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us