‘কোনো কথা হবে না।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নেটে একটা বল খেলার পর এই কথাটা বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আরও একবার একই কথা শোনা গেল অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের মুখ থেকে, ‘কোনো কথা হবে না।’ মাহমুদউল্লাহর বলা পরের কয়েকটি বাক্যে বোঝা গেল পুরো বিষয়টা, ‘বল ফালাইতে দিবি না হৃদয়। কোনো কথা হবে না। মাইর, মাইর।’
মাহমুদউল্লাহর পাশেই ব্যাটিং করছিলেন তাওহিদ হৃদয়। বুঝতেই পারছেন, তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে অনুপ্রাণিত করতেই মাহমুদউল্লাহর কথাগুলো বলা। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ বললেও ‘মাইর’ দেওয়া সহজ মনে হচ্ছিল না। সেটা হৃদয়ের জন্যও। যার সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫১, রান করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬২।
সিলেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠের তিনটি নেটেই উইকেটে ছিল অসম বাউন্স। কিছু বল উঠে আসছিল, কিছু আবার নিচু হয়ে। গতির তারতম্যও ছিল। যা টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রস্তুতির আদর্শ মনে হচ্ছিল না। বড় শট খেলার চেষ্টা করেও ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। স্থানীয় নেট বোলারের মিডিয়াম পেস বোলিংও অনেকের ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি।
তবে খেলা ২০ ওভারের। কন্ডিশন যেমনই হোক, মানসিকতা থাকতে হবে ইতিবাচক। চালাতে হবে ব্যাট। আর সেটা মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকলেই সম্ভব। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ হয়তো সেটাই হৃদয়ের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে চাইলেন। নিজের অভিজ্ঞতার সবটাই তরুণ সতীর্থের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিচ্ছিলেন। মাহমুদউল্লাহ নিজেও ব্যাট চালিয়ে গেলেন অনবরত। টাইমিং হোক আর না হোক, মেরে খেলার চেষ্টা ছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়েও।