আমরা জানি যে চিনি কেবল শরীরে শক্তিদাতা। তবে যে সত্য জানেন চিকিৎসকগণ, সেই সত্য আমরা মানি না অনেকক্ষেত্রেই। চিনি শক্তিদাতা খাদ্য হলেও তা শরীরের জন্য বিষও বটে। ইদানিং অনেকেই বলেন, মানবদেহের জন্য অতিরিক্ত ( প্রয়োজনের চেয়ে বেশি) চিনি ও নুন খাওয়া বিষতুল্য।
এই বিষতুল্য খাদ্য উপকরণ আমাদের প্রিয়বস্তু। আর বোধহয়, খোলাবাজারে চিনির দাম নিয়ে বেশ কারচুপি হয়। নিত্যদিন না হলেও চিনির দাম বাড়াতে ওস্তাদি আছে, চলছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো যে চিনির দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর অমনি ঝাঁপিয়ে পড়লো চিনির আমদানিকারক, মজুতকারী, বড় ব্যবসায়ী এবং খুচরো দোকানিরা।
তারা দাম বাড়ায়ে বিক্রি করছেন। প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু সরকার যে দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর তা বাতিল করে দিয়েছেন ( কেন করেছেন তা বলা যাচ্ছে না।) সেটা দোকানিরা জানলেও তা মানছেন না। তারা বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন। মানে, এই সুযোগে টু-পাইস’ কামিয়ে নেয়া।
এই মানসিকতাই হলো আমাদের প্রধান শত্রু। আর একটা সত্য এই দেশে চলছে, দাম একবার বাড়ানো হলে সেই পণ্যের দাম দেশে ও বিদেশে কমে এলেও, দোকানিরা তা মানছেন না। তারা যা বেড়েছিলো, সেই মাপেই বিক্রি করছেন। এই না কমানোর শক্তি তারা লালন করেন। কারণ তারা মনে করেন, এটা কোনো অন্যায় নয়। বেশি দামে কিনছে কেন মানুষজন?