১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝিনাইদহে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যে কয়টি গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ হয়েছে তার মধ্যে শৈলকুপার কুমার নদের সেতুতে হওয়া গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ অন্যতম।
৩০ মার্চ রাত ও ৩১ মার্চ দিনে ওই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালির বিজয় জনতার মনোবল আরও বাড়িয়ে দেয়।
গাড়াগঞ্জ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় মাইলফলক হয়ে আছে। এ যুদ্ধে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যকে গুলি, কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গাড়ি ও অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ঝিনাইদহে মুক্তিকামীরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন আনসার ও প্রাক্তন সৈনিকরা।