আমানত খেয়ানতের পরিণাম

সমকাল মো. শাহজাহান কবীর প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৮

আমানত আরবি শব্দ। অর্থ গচ্ছিত রাখা, নিরাপদ রাখা। পরিভাষায়: কারও কাছে কোনো অর্থসম্পদ, বস্তুসামগ্রী গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। যিনি গচ্ছিত বস্তুকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে সংরক্ষণ করেন, যথাযথভাবে হেফাজত করেন এবং মালিক চাওয়ামাত্রই কোনো টালবাহানা ছাড়া ফেরত দেন, তাকে আল-আমিন তথা বিশ্বস্ত আমানতদার বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনন্য গুণ হলো সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা। এ কারণে কাফির, মুশরিকরাও তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বাসী’ বলে ডাকত। আমানতদারিকে আল্লাহতায়ালা মুমিনের অন্যতম গুণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা আল মু’মিনুনের ৮ আয়াতে এরশাদ হয়েছে– ‘এরা সেই লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’


অন্যত্র সুরা আন নিসার ৫৮ আয়াতে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যেন আমানত তার মালিককে যথাযথভাবে প্রত্যর্পণ করো।’


প্রিয় নবী (সা.) অসংখ্য হাদিসে আমানতদারির মহৎ গুণকে ইমানের আলামত বলেছেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই। আর যে ওয়াদা পালন করে না, তার মধ্যে দ্বীন নেই।’ (বায়হাকি)


সততা, ন্যায়পরায়ণতা, বিশ্বস্ততা ও আমানতদারি রক্ষা না করা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, কথায় কথায় মিথ্যাচার ইত্যাদি গর্হিত আচরণকে মুনাফিকির নিদর্শনরূপে সাব্যস্ত করা হয়েছে। হাদিস শরিফে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি : কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, যখন তার কাছে কোনো বস্তু আমানত রাখা হয়, তার খিয়ানত করে।’ (বুখারি)


এক প্রকার আমানত হাক্কুল্লাহ বা আল্লাহর হক-সম্পর্কিত। বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ প্রদত্ত যাবতীয় ফরজ ও ওয়াজিব এবং যাবতীয় হারাম বর্জনের আদেশ হলো আল্লাহর হক-সম্পর্কিত আমানত। আরেকটি হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক-সম্পর্কিত আমানত। এর মধ্যে আর্থিক আমানত অন্যতম। কেউ যদি কারও কাছে কোনো সম্পদ বা টাকা-পয়সা গচ্ছিত রাখে, তাহলে এটি আর্থিক আমানত। এটি রক্ষা করা এবং প্রত্যর্পণ করাও ফরজ।


অনুরূপভাবে কারও গোপন কথা শরিয়তসম্মত ওজর ছাড়া ফাঁস করে দেওয়া হারাম। কেননা, সে কথাও একটি আমানত। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কথা বলে এদিক-ওদিক তাকায়, তবে তার কথা আমানত।’ তদ্রূপ মজুর ও কর্মচারীর ওপর নির্ধারিত দায়িত্বও আমানত। অতএব কাজ চুরি বা সময় চুরিও এক ধরনের আমানতের খিয়ানত।


বান্দার প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত বড় আমানত হলো, তার দ্বীন তথা ইসলামের আমানত। আর তা হলো, বান্দার দ্বীন তথা ইসলামের বিধান অনুযায়ী চলা এবং তা প্রচারের দায়িত্ব পালন করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us