গরুর মাংসের দাম কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই দ্রুত দামের পতন এবং ফের উত্থান- দুটোই দেখলেন ভোক্তারা।
সরকারি সংস্থা হিসাব করে মাংসের সর্বোচ্চ যে ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করেছে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে।
এই ‘যৌক্তিক মূল্য’ বাস্তবায়নে যে ব্যবস্থাপনা সরকার আইনে তৈরি করেছে, সেটি কাজ করছে না উদ্যোগের অভাবে।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে বাজার দর নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা সরকার বারবার বলে আসছে। কিন্তু বাড়তি মুনাফা ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্রেতারা হতাশ।
২০২৩ সালের শুরুতে দর আটশ টাকা ছুঁয়ে ফেলার পর এপ্রিল থেকে এক দুই জন করে বিক্রেতা কম দামে মাংস বেচতে থাকলে এক পর্যায়ে অক্টোবর নভেম্বরে দাম ছয়শ টাকার নিচে নেমে আসে। কেউ কেউ এমনকি ৫৫০ টাকাতেও বেচতে শুরু করেন।
সে সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাংস বিক্রেতা ও ঢাকার বড় খামারিদেরকে নিয়ে একটি সেমিনার করার পর দেখা দেয় পাল্টা প্রতিক্রিয়া। খামারি আর বিক্রেতারা একজোট হয়ে যান। তারা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ৬৫০ টাকায় মাংস বেচার ঘোষণা দেন। এরপর ফেব্রুয়ারির শেষে দাম ফের আটশ টাকা ছুঁয়েছে।