গত দুই বছরে ডলারে অস্থির করা অর্থনীতি, এখনো এর রাহুর দশা থেকে মুক্তি পায়নি। শুধু তাই নয়; এ সময়ে সংকট বরং আরও বেড়েছে। ৪৮ বিলিয়ন ডলারে ওঠা রিজার্ভ কমে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ডলারকে সুরক্ষা দিতে আমদানি এমন কড়াকড়ি করা হয়েছে, তাতে উৎপাদন ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খুব যে ডলার সাশ্রয় হয়েছে তা নয়; বরং এ সময়ে ডলার নিরাপদ অঙ্কে ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গলদঘর্ম বাংলাদেশ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে সবশেষ ক্রলিং পেগ নামের হাতিয়ার। ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বিদেশি মুদ্রার দাম ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ কৌশল কতটা কাজে দেবে এ নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ক্রলিং পেগ আসছে, ঈদের পর কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এত কিছুর পরেও সম্প্রতি রিজার্ভের উন্নতি দৃশ্যমান হয়নি। এমনকি রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন, আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাসহ বিদেশ থেকে ঋণ পাওয়ার পরেও রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২৫ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ডলারের দাম শতভাগ বাজারের ওপর ছাড়ার ঘোষণা থেকে সরে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রলিং পেগ করিডরের মাধ্যমে ডলারের দাম বাড়ানোর আভাস দেয়। কিন্তু মূল্যস্ফীতি গত জানুয়ারিতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নকে আপাতত স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।