উত্তর গাজায় অবস্থিত জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে খাদ্যের তীব্র আকাল। পরিবারের শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে নিজের দুটি ঘোড়া জবাই করতে বাধ্য হন উদ্বাস্তু আবু জিবরিল।
ঘোড়া জবাই করে বাচ্চাদের খাওয়ানো ছাড়া কোনো পথ ছিল না, ক্ষুধা আমাদের মেরে ফেলছে, তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন।
ঘোড়ার মাংসের সাথে ভাত রান্না করে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মাঝে বিলি করেন তিনি। তবে খাবারটি যে ঘোড়ার মাংস দিয়ে তৈরি, তা সবার থেকে গোপন রাখা হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর আগে গাজার সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু শিবির ছিল জাবালিয়া।
হামলা শুরুর পর নিকটবর্তী বেইত হানুন থেকে পালিয়ে জাবালিয়ায় আশ্রয় নেন ৬০ বছর বয়সী জিবরিল ও তার পরিবার। উদ্বাস্তু শিবিরে তাঁবুর নিচে দিন যাপন করছেন তিনি ও তার পরিবার।
মাত্র আধা বর্গ মাইলের এই উদ্বাস্তু শিবির স্থাপন করা হয় ১৯৪৮ সালে। আগে থেকেই এখানে দূষিত পানি, অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ আর ঘনবসতির সমস্যা ছিল। এখানে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি উদ্বাস্তু বসবাস করছেন।