জলবায়ু পরিবর্তনে কতটা বিপদে বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

খবরটা পুরোনো। সেই খবরই আমাদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। কতটা বিপদে আছি আমরা, সে খবরটা থেকে কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) তাদের ‘২০২১ সালে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি প্রধান সূচক ২০২১ সালে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ চারটি সূচক হলো গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, সামুদ্রিক তাপমাত্রা ও মহাসাগরের অম্লতা বৃদ্ধি। এর প্রতিটি সূচকই আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়েছে বৈশ্বিক জ্বালানি-প্রক্রিয়াকে। জাতিসংঘ মহাসচিব এই প্রতিবেদনের পর বলেছিলেন, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি-প্রক্রিয়া সঠিক পথে নেই এবং তা আমাদের জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানি দূষণের ইতি টানতে হবে। একমাত্র আবাসস্থলটিকে নিঃশেষিত করে ফেলতে না চাইলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তরের গতি বাড়াতে হবে।’


বৈশ্বিক জ্বালানি-প্রক্রিয়া ও ব্যবহারের ক্রমাগত বৃদ্ধি সমগ্র মানবজাতিকে এখন বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আমরা এখন সর্বকালের মধ্যে উষ্ণতম বছরগুলো পার করছি। সাগরে এখন ‘লা নিনা’ ও ‘এল নিনো’ হতে দেখা যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পুরো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। ডব্লিউএমওপ্রধান পেট্টেরি টালাস বলেছেন, ‘আমাদের জলবায়ু আমাদের চোখের সামনেই বদলে যাচ্ছে।’ আমরা এখন স্পষ্ট খোলা চোখেই দেখতে পারছি, যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা না, সে সময়েও কতটা বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, চরম শীত আর চরম গরম কীভাবে আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। এত ঘন ঘন ঝড় আর দাবানল অতীতে আর কখনো দেখা যায়নি।


জলবায়ুর এরূপ পরিবর্তনে কতটা বিপদে আছে বাংলাদেশ? সেটি বুঝতে পাতা ওলটাতে হলো আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মান ওয়াচের একই বছরে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ুঝুঁকি সূচক ২০২১’ প্রতিবেদনের। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অথচ এর জন্য বাংলাদেশ কতটা দায়ী? বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ নিঃসরিত হয় বাংলাদেশ থেকে। উন্নত দেশগুলো থেকে নিঃসরিত হয় ৮৬ শতাংশ। বাকি ১৪ শতাংশ নিঃসরণের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো ছাড়া বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশ। এতে ক্ষতির শিকার আমরা সবাই হব। কেননা গ্রিনহাউস গ্যাস বা নিঃসরিত কার্বনের চলাচলের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ওদের কোনো ভিসা লাগে না। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর করা কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভোগ করছি আমরা সবাই মিলে। এখানে সৃষ্টিকর্তা কোনো সুবিচার করতে পারেননি। যত পাপ, তত শাস্তি সে আইনও উন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়।


তবে তারাও যে এসব বুঝছে না তা নয়। এসবে তাদের অনুতাপ যে একেবারে নেই তা নয়, তারা পৃথিবীর জলবায়ুতে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে জলবায়ু তহবিল গঠন করে সেখানে অর্থ দিচ্ছে, নানা রকম কার্যক্রম হাতে নিতে উৎসাহিত করছে। কিন্তু উন্নত দেশগুলো নিজেরা কী করছে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাকি দেশগুলো সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়ে শতভাগ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমালেও তাতে কমবে বড়জোর ১৪ শতাংশ, যারা ৮৬ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী, কার্যক্রমগুলো নিতে হবে তাদেরই সবচেয়ে বেশি। এগুলো বৈশ্বিক বিবেচনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us