জীবনমান উন্নত হওয়ায় গ্রাম পর্যায়ে বেড়েছে টুথপেস্টের ব্যবহার। সাবানের জায়গা দখল করেছে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ। ভালোর জন্য এসব ব্যবহার করে হিতে বিপরীত হচ্ছে মানুষের। হ্যান্ডওয়াশের মাধ্যমে শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে। টুথপেস্টও ডেকে আনছে নানা ঘাতক ব্যাধি। গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ক্ষতিকর রাসায়নিকের টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশ দীর্ঘদিন ব্যবহারে হতে পারে ক্যান্সার, বন্ধ্যত্বের মতো রোগ। অথচ ভোক্তা পর্যায়ে এসব টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবসা চলছে। নামি থেকে ছোট কোম্পানির পণ্যেরও নিয়মিত হয় না মান পরীক্ষা। নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানও নির্বিকার। নিত্যপণ্য দুটি উৎপাদনে জড়িত একটি চক্র, যারা নামি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারে ছাড়ছে। মাঝেমধ্যে এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান হলেও নেওয়া হয় না শক্ত পদক্ষেপ। ফলে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে, যা বড় হুমকি হয়ে উঠেছে জনস্বাস্থ্যের জন্য।
বেসরকারি সংস্থা এসডোর গবেষণায় বাংলাদেশের স্থানীয় মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশের নমুনায় উদ্বেগজনক মাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্যারাবেন, সোডিয়াম ও ডাইক্লোরাইডের উপস্থিতি মিলেছে। প্যারাবেন মানবদেহের হরমোন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাহত করে। সোডিয়াম-ডাইক্লোরাইড উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনির জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘমেয়াদে এসব পণ্য ব্যবহারে নীরবে বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি।