স্থানীয় উত্তোলন বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে নতুন করে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা পেট্রোবাংলার। এজন্য প্রায় দেড় বছর আগে সংস্থাটি ৪৮টি কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নেয়। চলতি বছর পর্যন্ত যদিও খনন হয়েছে কেবল ১৪টির। আর পরিকল্পনা যতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, তাতে গ্রিডে গ্যাস যুক্ত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পেট্রোবাংলার এ-সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তা জানা যায়।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট্রোবাংলা কূপ খননের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করা অনেকটাই দুঃসাধ্য ও চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ বছরে গড়ে তিনটি করে গ্যাসকূপের কাজ হলেও বাকি সময়ে চার-পাঁচটির বেশি খনন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া যেসব কূপের কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর বেশির ভাগই পুরনো। অর্থাৎ খননের নামে মূলত সেগুলো সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা। তাতে লক্ষ্য অনুযায়ী গ্যাস মিলবে কিনা তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের সংশয়।
ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পেট্রোবাংলার ৪৮টি কূপ খননের পরিকল্পনা উচ্চাভিলাষী। সময় ও লক্ষ্যমাত্রার কথা চিন্তা করলে এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে নেয়া পরিকল্পনা আরো বাস্তবধর্মী হওয়া উচিত। যাতে কূপ খনন কম হলেও পেট্রোবাংলা কিংবা গ্যাস উত্তোলন কোম্পানিগুলো প্রকৃতপক্ষে সফলতা পায়, সেদিকটায় আরো খেয়াল রাখা দরকার।’