বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী

জাগো নিউজ ২৪ মানিক লাল ঘোষ প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫০

হাতে বীনা ধারন করেন বলেই তাঁর নাম বীনাপাণি। বীণার সুর মধুর। পূজার্থী বা বিদ্যার্থীর মুখ নিঃসৃত বাক্য ও যেন মধুর হয় এবং জীবনও মধুর সংগীতময় হয় এ কারনেই তাঁর হাতে বীনা। মাতৃরূপে পূজিত এই বীনাপাণিই হচ্ছেন জ্ঞান, বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী। সরস্বতী পূজা তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার্থীদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে পারিবারিকভাবেও এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কালপরিক্রমায় এ পূজা ব্যক্তি ও পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন বাঙালি হিন্দুদের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে ক্রমশ এক সার্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে।


সরস্বতী পূজা জ্ঞানের দেবীর আরাধনা হলেও এর পেছনে রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভগবৎ আরাধনার এক বিশেষ পদ্ধতি। জ্ঞানদায়িনী বিদ্যাদেবী সরস্বতী শ্বেত-শুভ্র বসনা। তার এক হাতে বীণা অন্য হাতে বেদপুস্তক, অর্থাৎ বীণাপাণিতে যার তিনি বীণাপাণি-সরস্বতী, আর এ থেকেই বাণী অর্চনার প্রচলন। তবে প্রথম কবে এ পূজার প্রচলন হয় তা বলা মুশকিল।


হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থে সরস্বতীর রূপ-মাহাত্ম্য বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। বেদ, পুরাণ ও বিভিন্ন শাস্ত্রীয় গ্রন্থে সরস্বতীর নানা রূপ ও প্রকৃতির বর্ণনা পাওয়া যায়। ঋগদেব বাগদেবী সর্বনিয়ন্ত্রণ ও সর্বনির্মাতা পরমেশ্বরী রূপে বর্ণিত হয়েছেন।


ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত পুরাণে সরস্বতী দেবী সম্পর্কে বলা হয়েছে, যিনি পরমাত্মার বাক্য, বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা এবং সর্ববিদ্যা স্বরূপা, তিনিই দেবী সরস্বতী। তিনি শ্বেত পদ্মসন্নিত অঙ্গজ্যোতিসম্পনা। মার্কেন্ডেয় পুরাণে এই দেবী বীণাপাণি, দুর্গার কন্যারূপে সরস্বতীর পরিচয় পাওয়া যায়।


বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে সরস্বতীর মাহাত্ম্য যেভাবেই বা যে রূপেই তুলে ধরা হোক না কেন, আমাদের বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতিতে সরস্বতীকে বিদ্যার দেবী হিসাবে পূজা করা হয়ে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায় সরস্বতীর যে মূর্তি পূজা করে সেই সরস্বতীর রূপ দ্বিভূজা, শ্বেত বরণী, শ্বেতাম্বরা, শ্বেতদল বাসিনী, শ্বেত হংসবিহারিণী ও বীণা পুস্তক- কমলধারিণী। দেবী সরস্বতী জ্ঞান দায়িনী, সর্বশুক্লা, তিনিবাগদপবী ও নিষ্কমা, নিত্যশুদ্ধা, বুদ্ধিদায়িনী মোক্ষদাত্রী। সরস্বতী জ্ঞান বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী হিসেবে ও পূজিত হয়ে থাকে।


বছর পরিক্রমায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আবার ফিরে এসেছে মাঘী শুক্লা পঞ্চমী তিথি। প্রতিবছর এই দিনটি হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এক ব্যতিক্রমধর্মী আবেদন সৃষ্টি করে। এই দিনে তিথি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে পূজা করে হয়ে থাকে।


এদিনটি অত্যন্ত শুভ। তাই এইদিন সনাতনধর্মালম্বী শিশুদের হাতে খড়ি, ব্রাহ্মণ ভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথাও চালু রয়েছে। লোকাচার অনুসারে ছাত্র-ছাত্রীরা সরস্বতী পূজার আগে কুল বড়ই খেতে পারে না। পূজার দিন তাদের কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us