পাকিস্তানে ভোটার ছক্কা আর ভারতে?

দেশ রূপান্তর মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৫

হোক অস্থির, আনপ্রেডিকটেবল কান্ট্রি। আগামীকাল পর্যন্ত দেশটিতে কী হবে তার ঠিকঠিকানা নেই। তারপরও নির্বাচনে ইমরান ধামাকা হয়ে গেল পাকিস্তানে। বলা হয়ে থাকে স্থানিক রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতিসহ অনেক ক্ষেত্রেই দেশটি ধ্বংসের শেষ সীমায়। এর মাঝেই সেনা, মার্কিন মিলিয়ে আরও অনেকের মুখে চপেটাঘাত ফেলেছে নির্বাচনটি। ক্রিকেট মহারাজ ইমরান খান ও তার দলের নেতারা কারাবন্দি, নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাসহ কত বাধা সয়েও ডামি-স্বতন্ত্রসহ নানা তন্ত্র-মন্ত্রে শক্তি দেখানোর মতো রেকর্ড তৈরি করেছেন বিরোধীরা। কপালে ভাঁজ উঠে গেছে পশ্চিমা বিশ্বের। পাকিস্তানের নির্বাচন, যারপরনাই মনোযোগ পেয়েছে পশ্চিমা মিডিয়ায়। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপারটাকে বিতর্কিত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে তারা। প্রায় প্রতিটি রিপোর্টেরই অধিকাংশ জুড়ে ছিল ইমরান খান। তার দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পিটিআইর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, দলের আরও অন্তত ৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছে। কিন্তু দেশের নির্বাচন কমিশন তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেনি। তারা ‘ডকুমেন্টস’ দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। সেটা পরের বিষয়। প্রায় দেশেই ইলেকশন ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় হতে হতে আরেকটি নির্বাচন এসে যায়। প্রশ্ন ভিন্ন জায়গায়। ক্ষমতাসীনদের এত নিয়ন্ত্রণের মাঝেও পাকিস্তানে এমনটি হলো কেন? নির্বাচনের আগে কারাদ- দিয়ে ইমরান খানকে আটকে দেওয়া হয়। জেলে নেওয়া হয়। নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। মূল ধারার গণমাধ্যম তাকে তেমন ফেভার করেনি। তা মোকাবিলার চেষ্টা হয় সোশ্যাল মিডিয়া আর পার্সোনাল কানেকশনে। ইমরানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাটও কেড়ে নেওয়া হয়। এতে তার প্রার্থীরা কেবল দলীয় নয়, মার্কা সংকটেও পড়ে যান। বেলুন, বেগুন, জুতা ইত্যাদি হাস্যকর মার্কায় নির্বাচন করেন। সেখানেও চিকন মারে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন তারা। ফলাফল ঘোষণার ধীরগতিতেও দলটির কর্মী-সমর্থকরা মাঠ ছাড়েনি। তাহলে কী ঘটেছিল ভেতরে, ভেতরে?


একপর্যায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মধ্যরাতে বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ ফলাফল ঘোষণা বন্ধ থাকে। এতে কিছুটা বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনী ফলাফলে রাতের মিল। এ ছাড়া বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের পর পাকিস্তানেও ‘স্বতন্ত্র চমক’ আরেকটি মিল। পাকিস্তানে ভোটের পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরের পর থেকে আবার থেমে থেমে ফল ঘোষণা শুরু হয়। সেখানেও থাকে অস্বচ্ছতা। পিটিআই কর্মীরা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। ‘মানি না, মানি না’ বলে মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি। তাদের স্বতন্ত্রের ডামিতেই চিত্র পাল্টে গেছে। তার মানে পাকিস্তান গণতন্ত্রে চলে এসেছে?  


পাকিস্তানের রাজনীতি ও নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বরাবরই সমালোচিত। এটি তাদের সংস্কৃতির মতো। ক্ষমতায় যেতে, টিকে থাকতে সেনাবাহিনীর পরশে ধন্য হওয়ার ইতিহাস রয়েছে ইমরান খানেরও। আবার ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছেন সেনাবাহিনীর ছোঁয়া ধরে রাখতে না পারায়। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের সামনে এখন পথ দুটি। হয় ইমরান খানের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা, নইলে ইমরানবিরোধীদের এক জোটে নিয়ে আসা। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা ১৯৮৮ সালের মতো। তখন সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরোধিতা মোকাবিলা করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো। মার্কিন চাপে অনিচ্ছায় বেনজির ভুট্টোকে সরকার গঠন করতে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু মেয়াদ শেষ করতে দেয়নি। ১৯৯০ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার সরকারকে উৎখাতের পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল সেনাবাহিনী। ইমরানের সঙ্গেও তা করেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us