ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে,
আজও কিছু মানুষ, স্বপ্ন খুঁজে ফেরে…
মানুষ স্বপ্ন খুঁজে পাক বা না পাক, শিল্পী অর্ণবের গাওয়া এ গান শুনলেই টাঙ্গাইল শাড়ির কথা মনে হয়। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে মাসহ বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের মুখে শুনে আসছি টাঙ্গাইল শাড়ির কথা। তখন থেকেই ‘ঠাস বুনট’ শব্দটি মগজের মধ্যে গেঁথে গেছে।
‘টানা পোড়েন’ শব্দটি যেমন তাঁতসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, ঠাস বুনট শব্দটিও তা-ই। এর অর্থ ঘন বুনন। জামদানির মতো নকশায় নয়, টাঙ্গাইল শাড়ির মূল পরিচিতি এর ঘন বুননে।
সেই কবে, আজ থেকে প্রায় এক শ বছর আগে গত শতকের ত্রিশের দশকে টাঙ্গাইলের তাঁতিরা নকশা তোলার কাজে ডবি ও জ্যাকার্ডের ব্যবহার শুরু করেন। তখন থেকে সেই শাড়িতে হয়ে আসছে মনমাতানো সব নকশা। উল্লেখ করা দরকার, এখন অনেক ধরনের নকশা হলেও আগে টাঙ্গাইল শাড়িতে খুব একটা নকশা হতো না। সে সময় বেকী বা চোকবেকী নামে সাধারণ কিছু নকশা হতো। ডবি বা জ্যাকার্ড ব্যবহার শুরুর পর নকশার বাহার খুলতে থাকে টাঙ্গাইলের শাড়িতে। শুরুর দিকে মানে না মানা, মেট্রো কিংবা জর্জেট ইত্যাদি নামের নকশা তোলা শুরু হয়। আর এখন? নকশাটা কেমন সেটা প্রশ্ন নয়, আপনি কেমন নকশা চান, সেটাই প্রশ্ন।