ভূমি রেকর্ডে ঘাপলা তো আছেই। তার ওপর পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) নির্দেশনাও মানা হয়নি। এত অনিয়মের কারণে ড্যাপে বিশেষভাবে চিহ্নিত একটি পাহাড় সাবাড় হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীতে।
নগরীর জামালখানের আসকারদীঘির পাড়ের সংরক্ষিত পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। সেই পাহাড়টি সরকারের রেকর্ডে বাড়ি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। এই ভূমিতে ৮৬ শর্তে ১৭তলা করে তিনটি টাওয়ার নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এসব শর্তের মধ্যে ভবন নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বিষয়টিও ছিল। কিন্তু ছাড়পত্র না নিয়েই পাহাড় কেটে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ।
পাহাড় কাটার দায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা অভিযান চালানোর পর বন্ধ ছিল কার্যক্রম। এখন আবার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে চৈতি সর্ববিদ্যা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এভাবে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। এ ছাড়া পাহাড় কাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। এ জন্য আমি পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলেছি, তাদের পরিবেশ আইনে মামলা করার জন্য।’