“আমরা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আছি। আজকেও রহমতের বিল এলাকায় বিভিন্ন ঘরের মধ্যে মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে। আমরা অত্যন্ত ভয়ের মধ্যে আছি।”
কথাগুলো বলছিলেন মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া কক্সবাজারের পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গফুর উদ্দিন। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনা ও বিদ্রোহীদের যুদ্ধের মধ্যে সীমান্তের এপারে এই আতঙ্ক চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এবং সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠছেন।
কয়েকদিনের যুদ্ধের মধ্যে সাহস করেও যারা ভিটেমাটি আগলে পড়ে ছিলেন, মঙ্গলবার তারাও বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় গ্রামের গ্রামের পর বিরান হয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর আরও শতাধিক সদস্য এদিন পালংখালী সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ২৬৪ জন অনুপ্রবেশ করেছে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।