মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং আরাকান আর্মি’র—সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রাদারহুড অ্যালাইয়েন্স’র ‘অপারেশন ১০২৭’ কাছে মিয়ানমারের মহাপরাক্রমশালী সেনাবাহিনীর নিয়মিত ‘মার খাওয়া’র খবর আমরা পাচ্ছি।
বিশেষ করে, আরাকান আর্মি একটার পর একটা মিয়ানমারের মিলিটারি ঘাঁটি দখল করে নিজেদের করতলগত করছে—এই রকম খবর আমাদের জন্য যুগপৎ আনন্দের এবং উদ্বেগের। আনন্দের এই কারণে যে, আমরা আশা করছি (বিশেষ করে অনেক আশাবাদী নিরাপত্তা বিশ্লেষক) যদি আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যকে নিজেদের দখলে নিতে পারে, একইভাবে মিয়ানমারের অন্যান্য স্টেটে রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপগুলোর কাছে সেনাবাহিনীর পরাজয় ঘটে এবং এর প্রতিফলন হিসেবে মিয়ানমারে নতুন করে গণতন্ত্রায়ণ ঘটে, তাহলে মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গারা পূর্বের তুলনায় খানিকটা ভালো অবস্থায় যাবে।