দুদিন যেতে না যেতেই আবারও পড়েছে ঘন কুয়াশা। রোববার (২১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে।
সকাল থেকে কুয়াশার তীব্রতায় ঢাকা পড়ে পথঘাট। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে যানবাহন।
রোববার সকালে জেলার শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে দেখা গেছে এই চিত্র।
সকালে কুয়াশার পরিমাণ আরও বাড়ায় দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলে রয়েছে ধীর গতি!
দুর্ঘটনা এড়াতে পরিবহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ভোর থেকে চলাচল করছে। এছাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কম রয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। সকালে কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। ঘন কুয়াশার কারণে দিক নির্ণয়ে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে বলে পরিবহন চালকেরা জানান। ফলে ধীর গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে পরিবহন। শিবচর উপজেলার সূর্যনগর, পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
এছাড়া শীতের তীব্রতার কারণে বাইরে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ফলে বাসস্ট্যান্ডগুলোতেও যাত্রী স্বল্পতা রয়েছে। ঢাকাগামী লোকাল পরিবহনও মহাসড়কে কম রয়েছে। সকাল সোয়া ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাটেনি ঘন কুয়াশা।
পদ্মা সেতুর শিবচর রেলস্টেশনে কথা হয় একাধিক যাত্রীর সঙ্গে। তারা বলেন, ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
এছাড়া শিবচর থেকে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যেতেও বাস এড়িয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।