দেশের কোথাও কোথাও ৮/১০ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ১৮ জানুয়ারি দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশ জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গরম কাপড় না থাকায় ছিন্নমূল মানুষ পড়েছে বিপাকে। ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ অবস্থায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঋতু বদলের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে যেন স্বরূপে ফিরেছে শীত। কিন্তু ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে এবারের শীতের আবির্ভাব বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও অসময়ে ঋতু বদলের ধারাবাহিকতায় এবারের শীতের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মার্কেটগুলোতে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে।
গত কয়েক দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের তীব্রতা অনেক বেড়েছে। বর্তমান শৈত্যপ্রবাহ আর ঠাণ্ডা দেশের উত্তরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের জনগণ অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছেন, সেই সাথে ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
শীতকালে দেশের কোথাও শীত বেশি কম হতেই পারে, এতে কারো হাত নেই, এটি প্রাকৃতিক। তবে এক্ষেত্রে শীতার্তদের জন্য আমাদের অনেক কিছুই করণীয় আছে। সরকারের পাশাপাশি আমরাও পারি শীতার্তদের জন্য আমাদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে। আমরা দেখতে পাই, প্রতি বছরই এ সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গরীব, অসহায় মানুষ শীতের তীব্রতায় খুব কষ্ট করেন। যাদের কাছে শীতের মোকাবেলা করার মত তেমন কোনো বস্ত্র থাকে না, যার ফলে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখেও তাদের ভুগতে হয়।
এসব লোকদের সাহায্য করাই হলো বান্দার অধিকার আদায় করা আর এমনটা করাই ইসলামের শিক্ষা। আর এর মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তা তার বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। যারা আল্লাহর বান্দার কষ্টের সময় সহযোগিতা করে আল্লাহপাক তাকে তার বন্ধু বানিয়ে নেন। তাই আল্লাহকে লাভ করতে হলে অসহায়দের সাহায্য করা একটি বড় মাধ্যম। আমরা সহজেই আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি এসব অসহায় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে।