বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সবচেয়ে বড় হুমকিগুলো

বণিক বার্তা কৌশিক বসু প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

কলম্বিয়ার মেডেলিনে সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইইএ) ২০তম বৈশ্বিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। ত্রিবার্ষিক এ আয়োজন সারা বিশ্বের পণ্ডিত ব্যক্তিদের একত্রিত হয়ে অর্থনৈতিক চিন্তার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করে। এবারের সম্মেলনে আগের কিছু বিষয়ের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি হিসেবে দেখা হয়েছে। যেখানে গ্লোবাল সাউথের ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।


আইইএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। এর প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন জোসেফ শুম্পেটার। ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। কভিড-১৯ মহামারী এবং এর দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর এক বিরাট ধাক্কা হয়ে আসে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা শৃঙ্খল হয়ে পড়ে। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমবর্ধমানভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে আবারো বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার মেঘ তৈরি হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া আইইএ সম্মেলনে এসব বিষয়কে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছে।


এ বছরের সম্মেলনে শ্রম, মজুরি ও বৈষম্যের ওপর ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের কথা আলোচনায় এনেছেন অনেক আলোচক। অন্যরা বিশ্বায়নের পরিবর্তিত রূপ, একমুখী থেকে বহুমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় স্থানান্তর এবং জাতীয়তাবাদের উত্থানের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিলেন। তবে সবাই এ বিষয়ে একমত যে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি মৌলিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।


অর্থনীতির স্কলার ড্যানি কোয়াহ তার বক্তব্যে বিশ্ব অর্থনীতির মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রের স্থানান্তরিত করার চিত্র তুলে ধরেছেন। ১৯৮০ সালে করা তার নিজের গবেষণা এবং আরো কিছু গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তিনি তার আলোচনা পেশ করেছেন। ১৯৮০ সালে করা গবেষণায় তিনি দেখিয়েছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতির মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রটি আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত। এ সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের আধিপত্য ছিল। পূর্ব এশীয় অর্থনীতির যাত্রা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক অভিকর্ষের বৈশ্বিক কেন্দ্র পূর্বদিকে সরে যেতে থাকে।


ড্যানি কোয়াহ তার উপস্থাপনায় দেখিয়েছেন, ২০০৮ সালের দিকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রটি তুরস্কের ইজমিরের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল এবং ভারতীয় ও চীনা অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি পূর্বদিকে অগ্রসর হয়েছে। তিনি দেখান, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির ভরকেন্দ্র ভারত ও চীনের মধ্যে এসে দাঁড়াবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অনেক সুযোগ বয়ে আনবে, কিন্তু ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়িয়ে দেবে এবং নতুন হুমকির জন্ম দেবে।


আরেকজন আলোচক সের্গেই গুরিয়েভ তার আলোচনায় দেখিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার একটি প্রধান চালক হিসেবে সামনে এসেছে ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদ। তিনি বলেছেন, জনতাবাদী আন্দোলনের ক্রমবর্ধমান ধারা গণতান্ত্রিক শাসন, নাগরিক স্বাধীনতা এবং উদার বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য একটি ‘অস্তিত্বের হুমকি’ হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us