চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৫০০ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত আছেন। তারপরও বিমানবন্দরটির ভেতরে স্পর্শকাতর স্থানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত এক মাসে বিমানবন্দরে ৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আলোকায়নের কেব্ল চুরির ঘটনায় গত ১৭ নভেম্বর রানওয়েতে লাইটিং বিঘ্নিত হয়। এতে দুই ঘণ্টা উড়োজাহাজ অবতরণ করতে না পারার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, শাহ আমানতে নামতে না পেরে একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে সম্প্রতি।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর বিমানবন্দরের ভিওআর এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে প্রায় ২০০ ফুট আন্ডারগ্রাউন্ড কেব্ল কেটে নিয়ে যায় চোরেরা। ২ ডিসেম্বর লাইটিং সিস্টেমের ২০০ ওয়াটের ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। এর দুদিন পরেই ৪ ডিসেম্বর লাইটিং সিস্টেমের সর্বশেষ প্রান্তে ২০০ ওয়াটের ১৫টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর একই এলাকায় তার কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় কর্মচারীরা এক চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।