ওম ছাড়া শীত মরে না—গানে গানে এই সত্য জানিয়েছেন সঞ্জীব চৌধুরী। কিন্তু সেই ওমের উৎস কী? লেপ-কাঁথা-কম্বল? সে তো বটেই, তবে এসবের চেয়েও উষ্ণতর শক্তিশালী একটি উৎস আছে। রোমান্টিক মানুষ মাত্রই তাঁর খোঁজ জানেন। হ্যাঁ, প্রিয় মানুষের আলিঙ্গন। জানুয়ারির জাঁকিয়ে বসা শীতকে এক লহমায় তাড়িয়ে দিতে পারে আলিঙ্গনের উষ্ণতা। এ তো গেল শীত তাড়ানোর প্রেমময় টোটকা। এ ছাড়া আলিঙ্গনের আছে আরও নানা উপকারিতা। আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক আছে প্রিয়জনের আন্তরিক স্পর্শের। গবেষণা বলছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি, নানা শারীরিক ব্যথা দূর করে। আলিঙ্গনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে।
আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদ্যাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না। তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু।
আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন। নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।